মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন রূপে নতুন করে সিম কার্ড যুক্ত হলো একটি প্রযুক্তি
মোবাইল নেটওয়ার্কে নতুন রূপে নতুন করে সিম কার্ড যুক্ত হলো একটি প্রযুক্তি গ্রামীণফোনের হাত ধরে আমাদের দেশে এই সর্ব প্রথম চালু হয়ে গেল ই-সিম কার্ড। বর্তমানে সারাবিশ্বে ই-সিমের ব্যাপক আকারে সমাদৃত হয়ে গেছে। ই-সিম ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হয়না প্রচলিত ফিজিক্যাল সিমকার্ড। সাধারণ সিম কার্ড গুলো হাতে ধরা যায় এবং দেখা যায় কিন্তু ই-সিম দেখা বা ধরা যায় না এর কারণ হলো ই-সিম এক প্রকার ভার্চুয়াল সিস্টেম স্মার্টফোনে একটি প্রোফাইল মাত্র।
আমরা জানি ফিজিক্যাল সিমকার্ড গুলো প্লাস্টিকের হয় অপরদিকে ইনভিজিবল ই-সিম পরিবেশবান্ধব কারণ এটা প্লাস্টিক আর ফিজিক্যাল সিম না হওয়ায় পরিবেশ দূষণ করে না। ই-সিম ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোনে প্রয়োজন হয়না কোন সিম কার্ড স্লট। আধুনিক স্মার্টফোন গুলোতে ই-সিম বিল্ড ইন থাকে এজন্য ই-সিমকে বলা হয় এমবেডেড সিস্টেম। বর্তমানের স্মার্টফোন গুলো তৈরি করা সময় ই-সিম ইনক্লুড করে দেওয়া হয় যার মধ্যে সিমের তথ্য গুলো অ্যাড করলেই হয়ে যায় ই-সিম ইনস্টলেশন।
সাধারণ সিম কার্ডের মতই ই-সিমে একটা পার্মানেন্ট ইউনিক একটা নম্বর থাকে যা খুব সহজেই সম্পৃক্ত হয়ে যায় মোবাইল অপারেটর নেটওয়ার্কে। আধুনিক সবরকম মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্ভিস পাওয়া যায় ফোন কনভারসেশন বা ইন্টারনেট ইউজ সব কিছু করা যায়। তবে এজন্য তোমাদের স্মার্টফোনে থাকতে হবে অবশ্যই ই-সিম সাপোর্ট। ইতিমধ্যে বহুৎ স্মার্টফোনে ই-সিম টেকনোলজি সম্পৃক্ত করা হয়ে গেছে সিঙ্গেল কিংবা ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যায় সাপোর্টেড ফোন গুলোতে।
আপনার ফোনটি সিম সাপোর্টেড কিনা দেখতে পারেন ফোনের নাম এবং মডেল টি গুগলে লিখে সার্চ করে জেনে নিতে পারেন। ই-সিম মূলত চিপ নির্ভর হলেও প্রচলিত সাধারণ সিম কার্ডের মত নম্বর এড করা যায়। তুমি চাইলেই সাপোর্টেড স্মার্ট ফোনের সহজে ফোন নাম্বার অ্যাড করতে পারবে। এছাড়াও তোমাদের সুযোগ রয়েছে নম্বর পরিবর্তন করার। নতুন নাম্বার সংযোগ কিংবা পরিবর্তন করতে নেটওয়ার্ক অপারেটর তোমাদেরকে সাহায্য করবে। জিপি কাস্টমার কেয়ার বা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে গেলে তোমরা সার্ভিস পেয়ে যাবে। এছাড়া সকল প্রসিডিউর জানতে পারবা জিপির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।
ই-সিম সংগ্রহ করে নতুন প্যাকেজ কালেক্ট করে কিউআর কোড স্ক্যান করে নতুন নাম্বার এড করতে পারবে।
চলো জেনে নেই কি ফিচার থাকে জিপি ই-সিমের মধ্যে এবং কিভাবে ইন্সটল করতে হয়। তিনটি কী পয়েন্টের মধ্যে প্রথমে আছে নিরাপদ। ই-সিম যেহেতু ফিজিকেল সিম কার্ড নয় তাই থাকছে না এটি হারানোর ভয়। ই-সিম অনেক বেশি কনভেনিয়েন্ট এই কারণে খুব সহজে সাপোর্টেড তোমাদের স্মার্ট ফোনে ইন্সটল করতে পারবে। এছাড়া ই-সিম অবশ্যই পরিবেশ বান্ধব কারণ আগেই বলেছিলাম ই-সিম যেহেতু ফিজিক্যাল সিমকার্ড নয় তাই থাকছে না ক্ষতিকর প্লাস্টিকের উপাদান।
কিভাবে ই-সিম কিনবেন বা এক্টিভেট করবেন?
এই মুহূর্তে গ্রামীনফোনই দিচ্ছে ই-সিম সার্ভিস। সেবাটি পেতে হলে জিপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার থেকে তোমাদের সংগ্রহ করতে হবে নতুন ই-সিম প্যাকেজ। সিম ইনস্টলার প্রথম সিদ্ধান্ত হবে একটি প্ল্যান চয়েস করা তোমাদের পুরনো সিমের একজাস্ট প্ল্যানটা চাইলে রাখতে পারো অথবা নতুন কোন প্ল্যান ব্যবহার করতে চাইলেও সহজেই করতে পারবে।
নতুন ই-সিম সেটআপ করতে চাইলে তোমাকে প্রথমে মোবাইল নম্বর সিলেক্ট করতে হবে। এরপর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্রসেস টি তোমাকে কমপ্লিট করতে হবে। ই-সিম এক্টিভেট করার জন্য অবশ্যই তোমার ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। তোমাকে দেওয়া ই-সিম প্যাকেজ একটি কিউআর কোড পাবে যা তোমার ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন অবস্থায় স্ক্যান করে নিতে হবে। স্ক্যান হয়ে গেলে তোমাদের স্মার্ট ফোনের মডেল অনুযায়ী প্রোফাইল সেট করতে হবে।