ঘরের বাইরে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক ঠিকই পাচ্ছে

ঘরের বাইরে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক ঠিকই পাচ্ছে



ঘরের বাইরে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক ঠিকই পাচ্ছে অথচ ঘরের ভিতরে বা রুমে আসলেই মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে পাচ্ছেন না ইন্টারনেট সংযোগ মোবাইলে। অনেকেই এই সমস্যার কারণে বাববার সলিউশন বের করার চেষ্টা করেন। এই সমস্যার কারণে অনেকে নেটওয়ার্ক বুস্টার ব্যবহার করতে চান কিন্তু সমস্যা হলো নেটওয়ার্ক বুস্টার একটি ব্যয়বহুল ডিভাইস যা সবার জন্য ব্যবহার করা হয়তো সম্ভব নয়।


আমি জানি অনেকেই আমরা মোবাইল ডাটা প্যাক কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি কিন্তু দেখা যায় ঘরের ভিতরে গেলে কিংবা রুমে গেলেই দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে পাচ্ছে না ইন্টারনেট সংযোগ। আজকের প্রতিবেদনে এই বিষয়ে ছোট্ট একটি সলিউশন দেওয়ার চেষ্টা করব পুরো পোস্টটি অবশ্যই ভালোভাবে পড়ুন আপনার কাজে লাগতে পারে।


এখন আমি আলোচনা করব ৪জি একটি মডেম নিয়ে ছোট্ট এই ডিভাইসটি দিয়ে হতে পারে আপনার ইন্টারনেট সমস্যা সমাধান। প্রতিবেদনে এই ডিভাইসটির বিষয়ে বিস্তারিত জানব। জানাবো এটা কিভাবে ডিভাইসটি কাজ করে আর কিভাবে ডিভাইসটি সেটআপ করা যায়। মোটামুটি কমদামে ফোরজি মডেম কিনতে পাওয়া যাবে। আর এটা মূলত সিম নির্ভর একটি ডিভাইস। বাংলাদেশের সব রকম মোবাইল নেটওয়ার্কের সাপোর্ট করে থাকে যে কোন সিম এই ডিভাইসে ইন্সটল করলেই ওয়াইফাই মাধ্যমে পাওয়া যাবে ইন্টারনেট সংযোগ। প্রতিবেদনটি শুরু করার আগে ধন্যবাদ জানাচ্ছে বিডিশপকে যারা মডেমটি পাঠিয়েছেন আমাকে চালিয়ে দেখার জন্য।


বিডিশপ বা কোন মার্কেটে এই মডেমটি পেয়ে যাবেন মাত্র ১৫০০ টাকার মধ্যে। শুরুতে একটু ধারনা দেয় ডিভাইসের ওয়র্কিং প্রসেস বিষয়ে প্রথমে ধরুন (ক) আপনার রুম এই জায়গায় ভালো মোবাইল নেটওয়ার্ক পায়না। তুমি অবশ্যই জানো তোমার বাসায় কোথায় ভালো নেটওয়ার্ক পায়। ধরো (খ) পজিশনে ভালো নেটওয়ার্ক পায়। এখন কাজ হবে (খ) পজিশনে মডেমটি সেট করা, চেষ্টা করবে রুম থেকে যথাসম্ভব কম দূরত্বে সেট করতে, যেখানে স্বল্প দূরত্বে ভালো নেটওয়ার্ক পায়। সঠিক পজিশনের ডিভাইস সেটআপ হলে ওয়াইফাই হটস্পট এর মাধ্যমে রুমে বসে ইন্টারনেট পাবেন। পুরো সিস্টেম টি অনেকটাই ওয়াইফাই এর মত। তুমি চাইলে যেকোনো জায়গায় পোর্টেবল মডেম হিসেবে ব্যবহার করতে পারো। হতে পারে কোন ট্রাভেল কিংবা গাড়ির মধ্যে। চলুন দেখে নেই ডিভাইসটি কিনলে বক্সে কি পাওয়া যাবে।


প্যাকেটের মধ্যে প্রথমে থাকছে ব্যবহার বিধি নিয়মের একটি কাগজ কনফিগারেশন দরকার হয় এইসব ডিভাইসের জন্য নিয়ম মেনে সেটাপ করার জন্য এবং এর মধ্যে পাওয়া যায় ডিভাইস এর ডিটেলস ইনফর্মেশন। সহজ প্যাকেজিংয়ের পর এর থাকবে প্রধান ডিভাইস। এটুকুই হলো বক্স কনটেন্স ফোরজি এলটিই ওয়াইফাই মডেম টি দেখতে সাইজে এটা বেশ ছোট। ডিভাইসটির বডি প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরিকৃত আর অবশ্যই একটা সহজে বহনীয় ডিভাইস। দেশের যেকোন টেলিকম অপারেটর সিম সাপোর্ট করবে। ডিভাইস কনফিগার ঠিক থাকলে সিমকার্ড আপনার যেইটাই হোক ব্যবহার করা যায় ডিভাইসটি খুব সহজে। ডিভাইসটি দিয়ে একসঙ্গে ১০জন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন ৩জি এবং ফোরজি সাপোর্ট থাকলেও ভালো ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যবহার করবেন ৪জি সিম কার্ড। ডিভাইসটি দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ মেগাবাইট পর্যন্ত ইন্টারনেট স্পিড পাবে।


ডিভাইস থেকে ডাউনলোড স্পিড পাবে সর্বোচ্চ ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত সাথে আপলোড স্পিড পাবে সর্বোচ্চ ৫০ এমবিপিএস। এটা ব্যবহার করে আমি নিজে দেখছি মডেমটি কনফিগার করা খুবই সহজ কিন্তু জানতে পেরেছি অনেকেই নাকি বলে নির্দিষ্টকৃত সিম কার্ডে নাকি ইন্টারনেট আসে না। এজন্য আমি ডিভাইসটিতে ভিন্ন ভিন্ন অপারেটর থেকে আলাদা সিম কার্ড যাচাই করে কাজ করছি কিন্তু সিমের ডিফল্ট কনফিগারেশন ইন্টারনেট পায় তবে পরবর্তীতে কিছু কনফিগার পরিবর্তন করতে হয়। অনেকে হয়তো কনফিগার করে নিতে পারেনি অথবা কনফিগারেশন করা সঠিক হয়নি যার জন্য ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছিল না। প্রতিবেদনে লিখে দিচ্ছি কিভাবে কনফিগার করলে দেশের সব রকম সিম সাপোর্ট পাবে। 


মডেমটি কিনলেই দেখতে পারবে ব্যাক সাইডে রয়েছে লগইন ইনফর্মেশন। এখানে এডমিন প্যানেলে অ্যাক্সেস করার জন্য আছে দরকারি সব তথ্য। যেমন ডিফল্ট এসএসআইডি পাবে এই পাশে লেখা আছে আইপি অ্যাড্রেস ওয়াইফাই এমনকি এবং লগইন পাসওয়ার্ড ডিটেলস। নিজের মত কাস্টমাইজ করতে পারবে কাকে ইন্টারনেট সংযোগ দিবে বা কাকে দিবে না সবই কন্ট্রোল করতে পারবে। এটা যেহেতু একটি ইউএসবি মডেম পাওয়ার অন করতে অবশ্যই দরকার হবে একটি ইউএসবি পোর্ট মাত্র। তুমি পারলে পাওয়ার ব্যাংক বা মোবাইল চার্জার দিয়ে চালাতে পারবে। ২৪/৭ ঘন্টায় কালেকশন রাখতে পারবে। ইউএসবি থেকে প্রতিবেদনে এটা তোমরা পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে কিভাবে চালাবে তা বলার চেষ্টা করব। তার আগে প্রথমে ইন্সটল করতে হবে একটি সিম কার্ড আমি এয়ারটেল সিম নিয়ে কাজ করা কঘা বলবো। 


সিম কার্ড ইন্সটল করার জন্য প্রথমে ব্যাক সাইট খুলতে হবে আমাদের খুললেই পেছন দিকে আমরা দেখতে পারবো একটি সিম কার্ড স্লট আছে যেখানে ফুল সিম কার্ড প্রবেশ করাতে হবে। কিন্তু এর পাশে একটি আমরা মেমোরি কার্ড স্লট দেখতে পারবো তবে স্তরটি অ্যাক্টিভ করে ব্যবহার যোগ্য নয়। সিমকার্ড ইনস্টল করার পর এখনই আমাদের ডিভাইসটি কনফিগার করতে হবে। ব্যাক কভার পিছনে কিছু ইনফর্মেশন দেওয়া আছে। প্রথমে ডিভাইসটি পাওয়ার ব্যাংকের সাথে বা চার্জার এর সাথে কানেক্ট করে নাও এরপর দেখতে পারবে ইউএসবিতে পাওয়ার কানেক্টেড হলেই বুঝতে পারবে ইন্ডিকেটর লাইট দেখে যে পাওয়ার কানেক্টর হয়ছে কিনা, হলে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে আমাদের এরপর ওয়াইফাই অপশনে ক্লিক করলে দেখতে পাবে ডিভাইসটির নাম সেখানে ক্লিক করলে বলবে পাসওয়ার্ড দিতে এরপর পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হবে এটা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড সঠিক ভাবে দেয়া মাত্রই দেখতে পারবে ওয়াইফাই কানেক্টেড হয়ে যাবে। এরপর সহজভাবে ডিভাইসটি কনফিগার করে নিতে হবে স্মার্টফোন ল্যাপটপ দিয়ে ডিভাইসটি সম্ভব কনফিগার করা।


প্রথমে আমাদের ফোন বা ডেক্সটপে যে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে এরপর সার্চ বারে টাইপ করতে হবে মডেম এর পিছন পাটে এ থাকা আইপি অ্যাড্রেসটি। অ্যাড্রেস সঠিক ভাবে দিলেই চলে আসবে মডেমের লগইন পেজ এখানে এডমিন আর পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। তারপর আমরা চাইলে আমাদের মন মত করে কনফিগারেশন করে নিতে পারব চাইলে আমরা ইউজার নেম পরিবর্তন করতে পারব এবং ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নিতে পারব।

Next Post
No Comment
Add Comment
comment url